গোয়েন্দা রিপোর্টে শামীম ওসমান কে নিয়ে বেরিয়ে এলো যে নতুন তথ্য!

একটি গোয়েন্দা সংস্থা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের খোঁজ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বেশ কিছু রহস্য ভেদ করেছে । গোয়েন্দা সংস্থাটি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৯জন নেতার একটি প্রোফাইল গঠন করে। ওই প্রোফাইলে উঠে এসেছে বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক এমপিদের কর্মকাণ্ডসহ নানা চিত্র উঠে আসে।

গোয়েন্দা রিপোর্টে , নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের পদধারী অনেক নেতার চেয়ে শামীম ওসমানের কাছে আওয়ামী লীগ বেশি নিরাপদ। বিএনপির জনপ্রতিনিধিরা শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হলেও বর্তমান সময়ে হাইব্রিড আর ত্যাগী নেতাকর্মীদের ইস্যুতে শামীম ওসমান আপোষহীন।

ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভাজন, গ্রুপিং, উপগ্রুপ থাকলেও দলের প্রতি অনেক নেতার যেমন টান আছে তেমনি আবার কেউ কেউ তলে তলে দলকে ব্যবহার করে নানা ধরনের ফায়দা নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ভবিষ্যৎ রাজনীতির ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াতের যে কোন ধরনের অপকর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ রহিত করতে হলে একনিষ্ঠ নেতাকর্মীকেই নেতৃত্ব প্রদান করা প্রয়োজন।

প্রাসাদ কেন্দ্রীক রাজনীতি ছাড়া মাঠ পর্যায়েও ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করতে পারে এমন নেতাদের সামনে এগিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে দলের স্বার্থে আবার আওয়ামী লীগ করা নেতাদেরও বিভিন্ন পদে পদায়িত করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের রাজনীতি অন্য নেতার চেয়ে শামীম ওসমানের কাছে নিরাপদ।’স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে ১৯ লাইনের মন্তব্যে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের বিরোধ রাজনৈতিক না বরং ব্যক্তিগত। তবে এটা রাজনীতির জন্য শুভকর না।

এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শামীম ওসমান আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আপোষহীন। দলের জন্য তাঁর ত্যাগ রয়েছে।’আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানান, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। কিন্তু সেখান থেকে বার্তা এসেছে শামীম ওসমানের অনুকূলে কমিটি দিতে।

তথ্য সূত্রঃ ইত্তেফাক